পাসের হারের সাথে শিক্ষার মান বাড়ানো প্রয়োজন

প্রকাশিত: ৮:২৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৬

এইচএসসি পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের সবাইকে অভিনন্দন। এবারে পাসের হার বেড়েছে সেটি আনন্দের খবর। তবে ফলাফলে কিছু অসংগতিও লক্ষ করা গেছে। অন্যান্য বোর্ডে পাসের হার গত বছরের কাছাকাছি থাকলেও যশোর বোর্ডে বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ।

যারা সাফল্যের সাথে পাস করেছে তাঁরা সহ তাঁদের বাবা-মা, পরিবার পরিজন সবাই অতি আনন্দিত। সব বাবা-মায়ের আকাক্সক্ষা থাকে তাঁদের সন্তান যেন পরীক্ষায় পাস করে। এবার বোধ করি অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তাঁদের বাবা-মায়ের সেই আকাক্সক্ষা পূরণ করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পাসের হার তো বেড়েছে, শিক্ষার মান কি সেভাবে বেড়েছে?
অনেকেই এটাকে রাজনৈতিক পাসের হার হিসেবে মন্তব্য করছেন। যদি সত্যি সত্যি রাজনৈতিক বিবেচনায় পাসের হার বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে তাহলে সেটি হবে আমাদের জাতির জন্যে ভয়ানক।

ফল-বিপর্যয় বা উল্লম্ফল কোনোটাই স্বাভাবিক নয়। তবে বিজ্ঞান, ইংরেজির পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ভালো ফল আশাব্যঞ্জক। প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়লেও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেধাবী শিক্ষক ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা-উপকরণের জোগান দিতে না পারা সার্বিকভাবে শিক্ষার অবনতিরই নির্দেশক। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা যখন ‘সাধ আছে সাধ্য নেই’ পর্যায়ে, তখন মানসম্পন্ন শিক্ষাদান কঠিন। পাসের হার বাড়লেই মান বাড়ে না।

অনেকেই এবারে এইচএসসিতে পাসের হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশের কথা বলেছেন। ভবিষ্যতেও এটি ধরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা-উপকরণ সরবরাহ করা গেলে কোচিংয়ের প্রবণতা কমবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তদারকির কাজটি শিকেয় তুলে রেখে শুধু পরিপত্র জাপাসের হারের সাথে শিক্ষার মান বাড়ানো প্রয়োজন

এইচএসসি পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের সবাইকে অভিনন্দন। এবারে পাসের হার বেড়েছে সেটি আনন্দের খবর। তবে ফলাফলে কিছু অসংগতিও লক্ষ করা গেছে। অন্যান্য বোর্ডে পাসের হার গত বছরের কাছাকাছি থাকলেও যশোর বোর্ডে বেড়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ।

আরও পড়ুন  শেখ মুজিব : বাঙ্গালী জাতির এক অবিসংবাদিত নেতা

যারা সাফল্যের সাথে পাস করেছে তাঁরা সহ তাঁদের বাবা-মা, পরিবার পরিজন সবাই অতি আনন্দিত। সব বাবা-মায়ের আকাক্সক্ষা থাকে তাঁদের সন্তান যেন পরীক্ষায় পাস করে। এবার বোধ করি অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তাঁদের বাবা-মায়ের সেই আকাক্সক্ষা পূরণ করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে পাসের হার তো বেড়েছে, শিক্ষার মান কি সেভাবে বেড়েছে?
অনেকেই এটাকে রাজনৈতিক পাসের হার হিসেবে মন্তব্য করছেন। যদি সত্যি সত্যি রাজনৈতিক বিবেচনায় পাসের হার বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে তাহলে সেটি হবে আমাদের জাতির জন্যে ভয়ানক।

ফল-বিপর্যয় বা উল্লম্ফল কোনোটাই স্বাভাবিক নয়। তবে বিজ্ঞান, ইংরেজির পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে ভালো ফল আশাব্যঞ্জক। প্রতিবছর এসএসসি ও এইচএসসিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বাড়লেও মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মেধাবী শিক্ষক ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা-উপকরণের জোগান দিতে না পারা সার্বিকভাবে শিক্ষার অবনতিরই নির্দেশক। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা যখন ‘সাধ আছে সাধ্য নেই’ পর্যায়ে, তখন মানসম্পন্ন শিক্ষাদান কঠিন। পাসের হার বাড়লেই মান বাড়ে না।

অনেকেই এবারে এইচএসসিতে পাসের হার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে রাজনৈতিক স্থিতিশীল পরিবেশের কথা বলেছেন। ভবিষ্যতেও এটি ধরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদান ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা-উপকরণ সরবরাহ করা গেলে কোচিংয়ের প্রবণতা কমবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তদারকির কাজটি শিকেয় তুলে রেখে শুধু পরিপত্র জারি করে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না।

এই যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হলো, তাদের জন্য উচ্চশিক্ষার দরজা কতটা খোলা আছে, বা খোলা রাখা প্রয়োজন সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। একদিকে হাজার হাজার স্নাতক তৈরি হয়ে বেকার বসে থাকা, অপরদিকে চাহিদামাফিক দক্ষ জনশক্তির জোগান দিতে না পারা দ্বিমুখী জাতীয় ক্ষতি বলেই মনে করি। তাই উচ্চশিক্ষার বিষয়টিকে জাতীয় পরিকল্পনার অন্তর্ভূক্ত করার বিকল্প নেই।

আরও পড়ুন  বর্ণচোররাও মিথ্যাবাদী

এইচএসসিতে পাসের হার বাড়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কিঞ্চিৎ আত্মসন্তুষ্টি লাভ করতে পারেন। কিন্তু যে ২৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলো, তাদের ভবিষ্যতের কথাও ভাবতে হবে। এটি কেবল ওই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরই ক্ষতি নয়, রাষ্ট্র ও সমাজেরও বিরাট লোকসান। এই লোকসান যত দ্রুত এবং যত বেশি পরিমাণে কমিয়ে আনা যায়, ততই মঙ্গল।

রি করে কোচিং ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না।

এই যে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হলো, তাদের জন্য উচ্চশিক্ষার দরজা কতটা খোলা আছে, বা খোলা রাখা প্রয়োজন সেটাও ভেবে দেখার বিষয়। একদিকে হাজার হাজার স্নাতক তৈরি হয়ে বেকার বসে থাকা, অপরদিকে চাহিদামাফিক দক্ষ জনশক্তির জোগান দিতে না পারা দ্বিমুখী জাতীয় ক্ষতি বলেই মনে করি। তাই উচ্চশিক্ষার বিষয়টিকে জাতীয় পরিকল্পনার অন্তর্ভূক্ত করার বিকল্প নেই।

এইচএসসিতে পাসের হার বাড়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা কিঞ্চিৎ আত্মসন্তুষ্টি লাভ করতে পারেন। কিন্তু যে ২৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলো, তাদের ভবিষ্যতের কথাও ভাবতে হবে। এটি কেবল ওই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদেরই ক্ষতি নয়, রাষ্ট্র ও সমাজেরও বিরাট লোকসান। এই লোকসান যত দ্রুত এবং যত বেশি পরিমাণে কমিয়ে আনা যায়, ততই মঙ্গল।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ