সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২১
প্রভাতবেলা ডেস্ক:
মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে ৮ দিনে সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হওয়া বিধিনিষেধ আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল থাকবে। রাজধানীতে কঠোর লকডাউন পালন হলেও পেটের দায়ে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজের সন্ধানে রাস্তায় নেমেছেন। তবে সড়কে লোকজন কম থাকায় তাদের আয় কিছুটা কমেছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) রাজধানীতে রিকশা চালকদের কাছে তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে এক জন বলেন ‘পেট তো আর লকডাউন মানে না’।
দেলোয়ার নামের রিকশা চালক বলেন, ‘ঘরে বৃদ্ধ মা-বাবা আছে, তিন ছেলে মেয়ে আছে। প্রতিদিন কাজ করে সংসার চালাতে হয়। লকডাউনে ঘরে থাকলে খাব কি? কেউতো আর খাবার দেবে না ? পেট তো আর লকডাউন মানে না। টাকার জন্য রাস্তায় নেমেছি।’
রিকশাচালক রায়হান বলেন, ‘লকডাউনের আগে প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা আয় করতাম। আজকে হয়েছে ১৫০ টাকা। পুলিশ রাস্তায় দাঁড়াতে দেয় না। তাই আয়ও কম। ঘরে ঘুমিয়ে থাকলে তো টাকা আসবে না। তাই রিকশা নিয়া বের হয়েছি।’
শনির আখড়া থেকে অটোচালক রমজান আলী হাওলাদার বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে গাড়ি চালানো নিষেধ আছে জানি। কিন্তু গাড়ি না চালালে সংসার চলবে না। প্রতি সপ্তাহে ৫২০ টাকা কিস্তি দিতে হয়। এছাড়া, ৫ জনের সংসারের খরচও। গাড়ি না চালালে খাবো কী? লকডাউন হলে কী হবে চাঁদা তো বন্ধ হয়নি। প্রতিদিন ৬০ টাকা চাঁদা দিতে হয়।’
রায়েরবাগে রাজমিস্ত্রি সবুজ বলেন, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। একটা টাকাও জমা নেই। বৃদ্ধ বাপ-মাসহ ৭ জনের সংসার। একদিন কাজ না করলে চুলা জ্বলবে না। ঘরে থাকলে খাওয়াবে কে? তাই লকডাউনের মধ্যে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি।’
মো. আরিফ নামে আরেক রিকশাচালক বলেন, ‘স্থানীয় সমিতি থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে রিকশা কিনেছি। সপ্তাহে ৭০০ টাকা কিস্তি। আগে আয় ভালই ছিলো। কয়েকদিন ধরে আয় নেই। সকালে বের হয়ছি। যাত্রীদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের দাঁড়তে দিচ্ছে না পুলিশ। কেমনে আজ বাজার করবো সেই চিন্তায় আছি।’
ফুটপাতের তরমুজ বিক্রেতা সাত্তার মিয়া বলেন, ‘লকডাউন না থাকলে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি তরমুজ বিক্রি হতো। এখন ৫টিও বিক্রি হয় না। আয় না হলে খাবো কি?’
যাত্রাবাড়ীতে দায়িত্বরত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এস আই আব্বাস হোসেন বলেন, ‘লকডাউনে সরকারের পক্ষ থেকে বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের বুঝিয়ে বাসায় ফেরত পাঠাচ্ছি। আর যারা একেবারেই অস্বচ্ছল তাদের সহযোগিতা করছে ডিএমপি।’
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি