আলোচনার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে শাবিতে আসতে হবে: আন্দোলনকারী

প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২২

আলোচনার জন্য শিক্ষামন্ত্রীকে শাবিতে আসতে হবে: আন্দোলনকারী

প্রভাতবেলা ডেস্ক:

নিজেদের দাবি নিয়ে  আলোচনায় বসতে শাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীকে ক্যাম্পাসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । এ সময় ভিসি’র পদত্যাগসহ দাবিগুলো দ্রæত মেনে নেওয়ারও আহবান জানান। শুক্রবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিং করে শিক্ষামন্ত্রীকে এ আমন্ত্রণ জানান আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী।

 

শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কার্যক্রম চালিয়ে রেখেছি। প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রোড পেইন্টিং কর্মসূচি হবে। আমরা আমাদের আন্দোলনের ভাষা পরিবর্তন করেছি। তবে দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

 

প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন মোহাইমিনুল বাশার রাজ। তিনি বলেন, পুলিশী হামলার ঘটনায় আহত এবং অনশনরত অবস্থায় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সকল ব্যয় প্রধানমন্ত্রী বহন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে রাগিব রাবেয়া হাসপাতালের বিলও শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে দেয়া হয়েছে। পুলিশের স্প্রিন্টারে আহত সজল কুন্ডকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আরও পড়ুন  কাল আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 

মোহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, সরকারের নির্দেশনায় শিক্ষামন্ত্রী আমাদের মূল দাবীসহ অনান্য দাবী পূরনের আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী তাঁর প্রেসব্রিফিংয়ে আমাদের দাবি ও বিভিন্ন সমস্যা প্রসঙ্গে আলোচনার জন্য শাবিতে আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরাও নিজেদের আমাদের দাবি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁর সাথে আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।

 

রাজ আরো বলেন, আমরা আশা করবো শিক্ষামন্ত্রী দ্রæত শাবি ক্যাম্পাসে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিবেন। একই সঙ্গে আমরা এও আশা করছি যে, এরই মধ্যে আমাদের মূল দাবিসহ অন্যান্য ব্যাপারে যে সমস্ত আশ্বাস দেওয়া হয়েছে সেগুলোও অতিসত্বর পূরণ করা হবে।

 

ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও পুণর্ব্যক্ত করেন রাজ। তিনি বলেন, আজ (গতকাল) রাতেও আমরা ক্যাম্পাসে মুক্ত আলোচনা করবো। মুক্ত আলোচনার প্রস্তাবনাগুলো শিক্ষামন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে।

 

গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ ভিসিকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন থেকেই ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে ১৯ জানুয়ারি থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের টানা ১৬৩ ঘন্টার অনশনের পর গত বুধবার ভাঙান শাবি’র সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক ইয়াসমিন হক।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ