নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে

প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০২২

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে:ইসলামী ঐক্য আন্দোলন।

জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করে সরকার জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। সারাবিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও সরকার রেকর্ড পরিমাণ ও অস্বাভাবিক ম‚ল্য বৃদ্ধি করে জনগণের উপর অমানবিক বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম যখন ১৩০ ডলার থেকে ৯০ ডলার বা তার চেয়েও নীচে নেমে আসছে, তখনই হঠাৎ করে বিনা নোটিশে রাতের অন্ধকারে জ্বালানি তেলের দাম নজিরবিহীন বৃদ্ধি ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’ হয়ে এসেছে সাধারণ ভোক্তাদের ওপর। মূলত এর মাধ্যমে সরকারের বেপরোয়া দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও অপরিণামদর্শিতার দায় পুরোপুরি সাধারণ মানুষের কাঁধে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে।

দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর তার প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। শাকসবজি, মাছ-মাংস ও ডিমসহ সব ধরনের পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়তি। পণ্যের বাজারে জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতিতে সীমিত আয়ের মানুষের পক্ষে ব্যয় সামাল দেয়া দু:সাধ্য হয়ে পড়েছে। তারা দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। মধ্যবিত্ত মানুষের পক্ষেও টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। এতে জনমনে চাপা আতঙ্ক ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন  রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ।

 

গত এক মাসেরও বেশী সময় ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নেতিবাচক প্রভাবে এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল ও ভোগ্যপণ্যসহ সকল পণ্যের দাম উর্ধমূখী। এ অবস্থায় ভোক্তারা যখন দিশেহারা তখন এক লাফে জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি – এটি অযৌক্তিক, অমানবিক ও জনবিরোধী। সরকারের এই অমানবিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। অন্যথায় সারা দেশে সরকার বিরোধী গণরোষ সৃষ্টি হয়ে তা গণআন্দোলনে রূপ নেবে।

আজ ১৯ আগস্ট , শুক্রবার, সকাল ১১ টায় ইসলামী ঐক্য আন্দোলন, ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘জ্বালানী তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ আয়োজিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।

 

আন্দোলনের ঢাকা মহানগরীর নায়েবে আমীর মাওলানা ফারুক আহমাদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা এএমএম কামাল উদ্দিন।

আরও পড়ুন  আইএস সৃষ্টির কারণ ইসরাইল: ব্রিটিশ এমপি

 

আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা হযরত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক এফএম আলী হায়দার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো: আজমল হোসেন, কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ জমিয়তে তলাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশক্তির সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক প্রমূখ।

 

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার দেশ চালাতে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। বিভিন্ন মেঘা প্রকল্পের নামে লুটপাটের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছে দেশকে। রাজস্য আজ শ‚ন্যের কোঠায়। অযোগ্য ও অদক্ষ মন্ত্রী-এমপিদের ব্যর্থতায় সব সেক্টরে আজ অরাজকতা। এ অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। নেতৃবৃন্দ, অন্যয়ভাবে গ্রেফতারকৃত নিরীহ সকল আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন। বিজ্ঞপ্তি

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ