আনিস ওরফে গোলক: আবাসনের ‘গোদের উপর নতুন ফোঁড়া’

প্রকাশিত: ৭:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২১

আনিস ওরফে গোলক: আবাসনের ‘গোদের উপর নতুন ফোঁড়া’

আনিস ওরফে গোলক: আবাসনের ‘গোদের উপর নতুন ফোঁড়া’। প্রভাতবেলা প্রতিবেদক♦

বিচিত্র আর আজব কর্মকান্ডে চলছে সিলেটের বৃহৎ এবং আলোচিত কোম্পানী আবাসন এসোসিয়েটস্ ।  শুরু  থেকেই বিচিত্র কর্মকান্ডের মাধ্যমেই এই কোম্পানীর পথচলা। কোম্পানীর অভ্যন্তরে বিচিত্র সব খেলা। সম্প্রতি আবাসনের বিতর্কিত চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরীনকে ইঙ্গিত করে  স্থানীয় পত্রিকায় সতর্কীকরন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন পরিচালকদের পক্ষে গঠিত কমিশন।

 

 

 

কোম্পানীর চেয়ারম্যান দাবীদার ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে কোম্পানীই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিলেটের পুরো আবাসন সেক্টরে নজির স্থাপন করে আবাসন এসোসিয়েটস্। কোম্পনীটিন গোদের উপর ফোঁড়া এখন আনিস নামে এক পরিচালক দাবীদার এক ব্যক্তি। কোম্পানীর প্রবাসী পরিচালকদের একটা অংশ নিয়ে আনিসুল হক চৌধুরী আনিস ওরফে গোলক। ঐ ব্যক্তি বিভিন্ন পরিচালকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছেন। বলছেন দেশে ফিরে তিনি কোম্পানীর সব ঠিক করে দেবেন। অপরদিকে পরিচালকদের অভিরযোগ আনিস ওরফে গোলকের গোল ধান্ধা এটা। করোনাকালে পকেট ভারী করার মতলবে মাতোয়ারা গোলক।

 

আরো পড়ুন:সিলেটের এক আবাসন কোম্পানীতে তুঘলুকি কারবার

 

কার্যত: আবাসনে এসোসিয়েটস্ আভ্যন্তরীণ কোন্দলের ক্যান্সারে আক্রান্ত। কেউ  কাউকে বিশ্বাস করে না। পারস্পরিক নেই কোন আস্থা । পরিচালকদের কোন পাত্তা না দিয়ে জাল সিগনেচারের মাধ্যমে মাহবুবুল হক শেরীন নিজেকে চেয়ারম্যান দাবী করছেন। পরিচালকদের একটা অংশ গোপনে তার সাথে থাকলেও প্রকাশ্যে অন্যপক্ষে। হামিদ-মাকুমকে সামনে রেখে আরেকটি গ্রুপ সরব। দেশে বিদেশে চলছে সমানতালে তাদের তৎপরতা। এরমাঝে আবাসনের গোদে দেখা দিয়েছে আরেক ফোঁড়া আনিস ওরফে গোলক ওরফে আনিসুল হক চৌধুরী।

 

 

 

গায়ে মানেনা আপনি মোড়ল এই চরিত্রে আনিস ওরফে গোলক। আনিস ওরফে গোলকের সাথে  হাতেগোনা কিছু পরিচালকের অসৌজন্যমূলক এবং রুচিহীন আপত্তিকর আচরন করে বিক্ষুব্ধ সিলেটের পরিচালকরা । তাদের কারো কারো আচরন মদ্যপ এবং মাস্তানের মতো। এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

আরও পড়ুন  ধর্মের কারণে বলিউড ত্যাগের ঘোষণা জায়রার

 

 

 

কতিপয় প্রবাসী পরিচালকের বেসামাল আচরণে হতবাক হয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আবাসন-বিডি এনআরবি নামের ওয়াটসআপ গ্রুপ। এই ওয়াটসআপ গ্রুপের অডিও এবং হুমকী-ধমকীর বিভিন্ন তথ্য এখন দেশ-বিদেশের আইন শৃংখলা বাহিনী, আদালত এবং গণমাধ্যমের হাতে।

 

সম্প্রতি আবাসন পরিচালকদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ পাল্টা চ্যালেঞ্জ এবং আল্টিমেটামের ফলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে আবাসনের অভ্যন্তরে। এর ফলে চেয়ারম্যান শেরীনের দুর্বৃত্তায়ন, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা আড়াল হওয়া এবং আসন্ন এজিএম ভেস্তে যাওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

 

তবে বাংলাদেশে জয়েন্টস্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত সিলেটের যে প্রকল্প নিয়ে এই অচালাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সে প্রকল্পটি রক্ষা করা এবং প্রবাসের যে কোন অপচেষ্টা রুখতে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন দেশের তথা সিলেটের পরিচালকরা। তারা যৌথ সভা করেছেন, এজিএমের তারিখ নির্ধারন করেছেন।

 

আরো পড়ুন:সিলেটের আবাসন এসোসিয়েট বিচিত্র এক কোম্পানী

 

প্রকৃত সমাধান প্রত্যাশী পরিচালকরা বলছেন,আবাসন এসোসিয়েট কিংবা আবাসন ডেভলাপার্সে নাম তালিকাভূক্তি নিয়ে  সংশয় রয়েছে  লন্ডন প্রবাসী আনিসুল ওরফে আনিস ওরফে গোলক নামের এক ব্যক্তির।  সম্প্রতি আবাসনে বিভেদ বিভাজনের জন্ম দেন এই গোলক । তার প্ররোরচনায় কিছু লোক এই বিভেদ উস্কে দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিউইয়র্ক প্রবাসী আহমদ হোসেন। যার সংশ্লিষ্টতা আবাসনের দীর্ঘ কার্যক্রমে আলোচিত ছিলনা। এছাড়া আব্দুল হাই ও সাইফুল ইসলামও প্রবাস থেকে নানা অপপ্রচার ছড়াচ্ছেন।

 

 

এমন পরিস্থিতিতে আবাসনে সর্বজন গ্রহনযোগ্য বরেন্য ব্যবসায়ী মাসুদ আহমদ মাকুম ওয়াটসআপ গ্রুপ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এই গ্রুপের এডমিন আবাসনের অন্যতম সংগঠক ও পরিচালক নুরুল আহমদ ওয়াটসআপ গ্রুপ বন্ধ করে এনআরবি বাদ দিয়ে বিডি ডিরেক্টর নামে একটি গ্রুপ চালু করেন। এর জন্য এনআরবিদের দায়ী করাসহ পুরো প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন তিনি।

আরও পড়ুন  অর্থ আত্মসাতের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে সাহেদ

 

 

 

এসব ঘটনা প্রবাহ এবং তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে আবাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র প্রভাতবেলা’কে জানায়, আনিস-আহমদ গংদের আচরণ ব্যবসায়ী শিস্টাচার বহির্ভূত। তারা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং অনেকের ব্যাপারে মানহানীকর বক্তব্য মন্তব্য চালিয়ে সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। তারা বলছেন, আবাসনের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে যেখানে দুই কোটি টাকা প্রয়োজন সেখানে মাত্র ৩০ লাখ টাকার তহবিল করে প্রবাসীরা যেভাবে দেশের পরিচালকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন এবং নিজেদের লাঠিয়াল ভাবছেন সেটি বিস্ময়কর।

 

 

 

আবাসনের একজন পরিচালক জানান, লন্ডন প্রবাসী এলাইছ মিয়া মতিন, আবুল কালাম ছোটন, শামসুল হক, মন্জুরুল আলম মন্টুসহ অনেক পরিচালক দেশে গেছেন আবাসন এর সমস্যা সমাধানের জন্য। তারা বৈঠক করেছেন। দেশের পরিচালকরা তাদের সম্মান জানিয়েছেন এবং সহযোগিতাও করেছেন। এছাড়া কানাডা প্রবাসী ওয়াহিদুর রহমান, সুইডেন প্রবাসী আবুল হোসেনসহ অনেক প্রবাসী পরিচালকরা গঠনমূলক ভুমিকা পালন করে আবাসনের সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

 

 

 

 

লন্ডনে তথাকথিত টাস্কফোর্স এর সমালোচনা করে আবাসনের দেশ বিদেশের পরিচালকরা কোম্পানী আইনে এবং গণতান্ত্রিক পন্থায় সমস্যা সমাধানের জন্য বিশৃংলা সৃষ্টিকারী প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। সব ধরনের অপপ্রচার অপতৎপরতা বন্ধ করে শান্তিপূর্ন এবং অতীতের ন্যায় সৌহার্দ্য বজায় রেখে সমস্যা সমাধানে আন্তরিক মন নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন তারা।

 

 

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ