কাতারে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের জেগে উঠার অপচেষ্টা

প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২৪

কাতারে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের জেগে উঠার অপচেষ্টা
প্রতিনিধি,কাতার: শেখ হাসিনার পলায়নের পর যখন সারা বিশ্বে ফ্যাসিবাদের দোসররা কোনটাসা অবস্থায় দিনাতিপাত করছে, তখন কাতারে ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসন ও সক্রিয় করার কাজে হাত দিয়েছেন স্বয়ং কাতারের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম।

 

আগামী ১৮ই অক্টোবর ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের নামে বাংলাদেশ স্কুলে কথিত সংগঠন ‘ফ্রেন্ড ইউনিটি’ এবং ‘গার্ডিয়ান্স’ লীগের ছদ্মাবরণে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে ফ্যাসিবাদ।

 

 

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ স্কুলের প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে আজ অবধি স্কুলের নিজস্ব অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোন অনুষ্ঠান করার রেওয়াজ নেই এবং অদ্যাবধি হয়ে উঠেনি। কিন্তু রাষ্ট্রদূত ফ্যাসিবাদকে পূণর্বাসনের উদ্দেশ্যে সদ্য গজিয়ে উঠা ২টি সংগঠনকে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার নামে স্কুল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানের অনুমতি দিয়েছে। আর পর্দার অন্তরালে চলছে ফ্যাসিবাদকে প্রতিষ্ঠার কাজ।

কাতারে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের জেগে উঠার অপচেষ্টা

কাতারে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের জেগে উঠার অপচেষ্টা

 

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের নিকটাত্মীয় বলে সর্বমহলে পরিচয় দানকারী জনৈক রাকিব সম্প্রতি বন্ধু সভা নামে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ বন্ধু সভা প্রথম আলোর একটি সহযোগি সংগঠন। অবশেষে অবস্থা বেগতিক দেখে সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে নাম রাখেন ফ্রেন্ডস ইউনিটি। এই রাকিবের সাথে রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলামের রয়েছে অদৃশ্য সম্পর্ক। যার কারণে রাকিবের পারিবারিক অনুষ্ঠানেও রয়েছে রাষ্ট্রদূতের যাতায়াত। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিয়ে ইতিমধ্যে রাকিব বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ স্কুলে গড়ে তুলেছেন একটি সিন্ডিকেট। বাংলাদেশীদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে গোপনে ভূমিকা রাখেন রাকিব ।

আরও পড়ুন  গোয়াইনঘাটে ৫ টাকার জন্য যুবক খুন

 

 

অপর দিকে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কাতার এর সভাপতি পরিচয়দানকারী ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ সেলিম। তিনি একাধারে ফেনী সমিতি কাতার এর সভাপতিও। সম্প্রতি কাতারস্থ বাংলাদেশ স্কুলের অভিভাবকদের নিয়ে গড়ে উঠে একটি অভিভাবক সংগঠন। বাংলাদেশ কমিউনিটির সভাপতি জনাব ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার আকনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে কমিউনিটির গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশিন গঠন করে প্রত্যক্ষ ও অংশ গ্রহণমুলক নির্বাচনের মাধ্যমে এই অভিভাবক সংগঠনের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেই সংগঠন যাতে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে না পারে সে জন্য রাষ্ট্রদূত এবং স্কুলের ডাইরেক্টরের তত্ত্বাবধানে ফ্যাসিবাদের দোসর ইঞ্জিনিয়ার সেলিমকে দিয়ে গড়ে তুলা হয় “গার্ডিয়ান্স“ পৃথক আরেকটি সংগঠন। যার উদ্দেশ্য হলো প্রকৃত গার্ডিয়ানদের নিয়ে গড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে যখনই অভিভাবকদের কোন দাবী দাওয়া পেশ করা হবে, তখন এই সংগঠনকে দিয়ে তার প্রতিবাদ করানো।

 

সম্প্রতি স্কুলের বিষয়ে কিছু দাবী দাওয়া নিয়ে অভিভাবকদের স্বাক্ষর গ্রহণের জন্য উদ্যোগী হলে সেলিমের কথিত ‘গার্ডিয়ান্স’ তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পিং শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন  বিশ্বব্যাপী জকিগঞ্জ ইউনাইটেড এসোসিয়েশনের বর্ষপূর্তি অনুষ্টান

 

 

বাংলাদেশ স্কুল কাতার প্রবাসী বাংলাদেশীদের একটি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকাবাহী একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখানে রাজনীতি ও দলীয় কার্যক্রমকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। কিন্তু রাষ্ট্রদূত তা লংঘন করে ফ্যাসিবাদের দোসর হিসাবে ভূমিকা পালন করছেন। তাই প্রতিষ্ঠানকে বাঁচাতে এবং ফ্যাসিবাদকে রুখতে সকল প্রবাসীদের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।

সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।

সর্বশেষ সংবাদ