বিশ্বম্ভরপুরে ‘জরিমানা বানিজ্য’ । হয়রানির স্বীকার সাধারণ মানুষ।
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের লক্ষীরপার গ্রামের ফজলসহ কতিপয় ব্যক্তির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ।
ফজলের ক্ষমতার কাছে জিম্মি এলাকার কৃষক, সাধারণ মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, ফজল যেকোনো কৌশলে ,যেকোনো মাধ্যমে অসহায় ব্যক্তিদের জরিমানা করে হয়রানি করে থাকেন।
সরেজমিনে জানা যায়,ধনপুর ইউনিয়নের লক্ষীরপার গ্রামের মালেককে মামলার ভয় দেখিয়ে বারো হাজার টাকা (১২০০০) , কিছুদিন পুর্বে একই গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে কামালকেও দশ হাজার টাকা (১০০০০) ‘জরিমানা’ করে হাতিয়ে নেন ফজল গং।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে ফজল, জিয়া রহমান এবং তাজুল নামে তিন ব্যক্তি একটা সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। তারা সবসময় মানুষকে হয়রানি করে থাকেন।স্বঘোষিত জরিমানা করে ঐ তিনজন ভাগ বন্টন করে নেন। গত ২১/৩/২২ ইং তারিখে একজন অসহায় ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করা হয় তখন বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করেন।
তদন্ত করতে যান বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই শংকর। সাংবাদিকরাও তদন্তে যান এবং পুরো ঘটনা তদন্ত করেন, সাংবাদিকদের তদন্তে বেরিয়ে এলো আসল রহস্য, মালেক মিয়াকে ফাঁসানোর জন্যই নিজেদের মোটর দিয়ে সারারাত পানি দেওয়া হয় বিভিন্ন জমিতে এবং লাইন কেটে মোটর মালিকের নিজস্ব পুকুরে পানি নেন, সেই পুকুরের রেনু মাছ গুলো বিষাক্ত পানি দিয়ে মারা হয়, শেষ পর্যন্ত নিজেদের ক্ষতি পোষাতে মালেকর উপর চাপানো হয় সব দোষ, মালেককে হুমকি দমকি দিয়ে ক্ষতি পুরন দিতে বলা হয়।
তখন মালেক বলেন আমি কেন জরিমানা দেবো আমি তো মোটর ছাড়ি নাই, কিন্তু ফজল গংদের উদ্দেশ্য! যেভাবেই হোক টাকা উদ্ধার করতেই হবে অনেক চিন্তা ভাবনা করে একটা উপায় বের করলেন তা হলো থানায় অভিযোগ করে জরিমানা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু থানার এসআই শংকর তদন্ত করে যাওয়ার দুদিন পরেই হঠাৎ মালেকের বাড়িতে গিয়ে মালেকের মাকে এবং তার দুলাভাইকে হুমকি দিয়ে (১২০০০) বারো হাজার টাকা ‘জরিমানা’ নিয়ে চলে যায় তার পরেরদিন অভিযোগটি প্রত্যাহার করে।
এবিষয়ে মালেক বলেন আমি অসহায় ব্যক্তি তাই তারা আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক জরিমানা নামক ১২০০০/- টাকা নিয়েছে কিন্তু আমার জানা মতো আমি কোন দোষ করিনাই এখন আমি আমার টাকা ফেরত চাই।
অন্যদিকে ফজলের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি শেষ পর্যন্ত কথা বলতে রাজি হয়েছে কিন্তু সামনে এসে বলে আমাদের ঝামেলা শেষ হয়ে গেছে আপনি চলে যান।
বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই শংকর বলেন আমি তদন্ত করে এসে (ওসি) স্যারের কাছে দিয়েছি এখন আবারও তদন্ত করার জন্য এসআই বজলুকে দেওয়া হয়েছে তাছাড়া আমি আর কিছু জানিনা।