সিলেট ১৫ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০২৩
জরিপকাজ চূড়ান্ত হলে মোট প্রাক্কলনে বরাদ্দের পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে এবার বড় বন্যা না হওয়ায় গত বছরের তুলনায় কাজ কম হবে বলে মনে করছেন পাউবো কর্মকর্তারা।
সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ৯৫টি হাওরে প্রতিবছর সোয়া দুই লাখ হেক্টরের মতো জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়। এসব হাওরে বেড়িবাঁধ আছে ১ হাজার ৭১৮ কিলোমিটারের মতো। পাউবো কাজ করে ৪০টি হাওরে। হাওরে একসময় ঠিকাদারদের মাধ্যমে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ হতো।
২০১৭ সালে হাওরে ব্যাপক ফসলহানির পর বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে তখন মামলাও হয়। এরপর পাউবো হাওরে বাঁধ নির্মাণে নতুন নীতিমালা করে। এতে কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয় ঠিকাদারদের। কাজে সরাসরি যুক্ত করা হয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে।
গতবার ৭৪৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারকাজে মোট প্রকল্প ছিল ১ হাজার ৬৪টি। এতে প্রাক্কলন ধরা হয়েছিল ২০৩ কোটি টাকা। তবে কাজের শেষে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত বিল ধরা হয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। এ পর্যন্ত পিআইসিদের বিল দেওয়া হয়েছে ১৩৩ কোটি টাকা। এখনো গত বছরের কাজের ২২ কোটি টাকা বিল বকেয়া আছে। পাউবো কর্মকর্তা বলছেন, এই অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, অর্থ ছাড় হলেই বকেয়া বিল পাবে পিআইসিগুলো।
এ প্রসঙ্গে হাওর বাঁচাও আন্দোলন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায় বলেন, ‘আমরা সব সময়ই বাঁধের কাজ নির্ধারিত সময়ে শুরু এবং শেষের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে থাকি। কাজ শুরুতে দেরি হলে শেষও হয় বিলম্বে। এটা একটা বড় সমস্যা।’ তিনি আরও বলেন, প্রকল্প গ্রহণ ও পিআইসি গঠনে গণশুনানির কথা থাকলেও মাঠপর্যায়ে প্রশাসন ও পাউবো কর্মকর্তা সেটি যথাযথভাবে করেন না। এটি নিশ্চিত করা গেলে বাঁধের কাজে অনিয়ম কমে যেত।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি