সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |
প্রকাশিত: ৮:১২ অপরাহ্ণ, জুন ২৩, ২০২৪
পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গত বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ৪৬তম বিসিএস লিখিত থেকে পরীক্ষা পদ্ধতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। এর মধ্যে অন্যতম—লিখিত পরীক্ষায় উত্তরগুলো প্রশ্নের ক্রমানুসারে লেখা, যা প্রশ্নপত্রে স্পষ্ট করে উল্লেখ থাকবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কেউ যদি ৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর আগে লিখতে চান, তাহলে এর জন্য খাতায় নির্দিষ্ট জায়গা রেখে দিতে হবে। কোনোভাবেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশ্নের ক্রম লঙ্ঘন করা যাবে না।
পিএসসির চেয়ারম্যান জানান, লিখিত পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য একেকটি দলে ১৩-১৪ জন জনবল থাকবেন। একজন ১ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দেখবেন, অন্যজন ২ নম্বর দেখবেন। এভাবে সব প্রশ্নের উত্তর দেখা হবে। পরীক্ষকদের কারও কোনো ভুল হলো কি না, তা দেখার জন্যও সেখানে আলাদা পরীক্ষক থাকবেন। এখানে প্রধান পরীক্ষকও থাকবেন। ফলে খাতা দেখার জন্য দ্বিতীয় ও তৃতীয় পরীক্ষকের প্রয়োজন হবে না। সবকিছু ধারাবাহিকভাবে যাচাই-বাছাই হয়ে চূড়ান্ত হবে।
এমন পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা কেন—এ প্রশ্নে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, মূল্যায়নে নতুন পদ্ধতি চালু হলে খাতা দেখার মান বৃদ্ধি পাবে এবং সময়ও বাঁচবে। একই সঙ্গে একেকজন পরীক্ষক একেকভাবে দেখার সুযোগও পাবেন না। সব মিলিয়ে এক বছরে একটি বিসিএস কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
বিসিএসের প্রার্থী বাছাই করা হয় তিন ধাপে। ধাপগুলো হলো—প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা। প্রথম ধাপে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় ধাপে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা মোট ১১০০ নম্বরের (জেনারেল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারের জন্য) লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। তৃতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।
আগে এ ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা ছিল। এখন তা দূর হয়েছে। আর এই বিসিএস থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের একটি ইউনিক আইডি দেওয়া হবে। এতে এক আবেদনেই একাধিক চাকরির জন্য আবেদন করা সম্ভব হবে।
এখন এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার খাতা দ্বিতীয় পরীক্ষক দেখছেন। আশা করছি, আগস্টের শেষে এ বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ সম্ভব হবে। আমাদের লক্ষ্য হলো এ বছরই ৪৪ ও ৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ। কোনো কারণে এক-দুই মাস দেরিও হতে পারে। এগুলো সবই এক বছরের মধ্যে বিসিএসের সব কার্যক্রম শেষের পরিকল্পনার অংশ।’
ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার সব কার্যক্রম ৪১তম বিসিএস থেকে অটোমেটেড হয়েছে বলে জানান পিএসসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ক্যাডার এবং পদ সিলেকশন হয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে। কোর্ডেড অবস্থায় ম্যানুয়ালি মিলিয়ে দেখা হয়। এ ক্ষেত্রে কারও পক্ষে ব্যক্তিগতভাবে কিছু করা সম্ভব নয়।
সম্পাদক : কবীর আহমদ সোহেল
নির্বাহী সম্পাদক: মোঃ আব্দুল হক
ঢাকা অফিস : ২৩৪/৪ উত্তর গোড়ান, খিলগাঁও, ঢাকা ।
সম্পাদক কর্তৃক প্রগতি প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিঃ, ১৪৯ আরামবাগ, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।
সিলেট অফিস: ২৩০ সুরমা টাওয়ার (৩য় তলা)
ভিআইপি রোড, তালতলা, সিলেট।
মোবাইল-০১৭১২-৫৯৩৬৫৩, ০১৭১২-০৩৩৭১৫
E-mail: provatbela@gmail.com,
কপিরাইট : দৈনিক প্রভাতবেলা.কম
আমাদের সর্ম্পকে গোপনীয়তা যোগাযোগ
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি